চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মোঃ সোলায়মান ও চুনারুঘাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম দিলীপ মজুমদার এর ঘুষ-দুর্নীতির অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এনজিও পাশার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ হুমায়ূন কবির।
সোমবার সকালে চুনারুঘাট প্রেসক্লাব ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর যথা নিয়মে সেচ কাজের জন্য স্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগের সমীক্ষা ফি ২’শ ৫০ টাকা পরিশোধ করে আবেদন করেন। এ সময় তার নিকট হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুনারুঘাট শাখার ডিজিএম উৎকোচ দাবি করেন। কিন্তু উৎকোচ না দেয়ায় আবেদন মঞ্জুর করে নানা ভাবে ঘুষ নেয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রদান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আবেদনের ২/৩ বছর পর এক পত্রের মাধ্যমে বলা হয় লাইনের মালামালের মূল্য অন্যান্য খরচাদিসহ ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮শত ৯৩ টাকা এবং নিজ খরচে ৩টি ট্রান্সফরমার ক্রয় করে দিতে বলেন। সরকারি নিয়ম হচ্ছে ১’শ ফুটের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে এত খরচের প্রয়োজন পড়েনা।
এক পর্যায়ে আমি ডিজিএম এর দাবিকৃত টাকা ও ৩টি ট্রান্সফরমার ক্রয় করে দেই। ডিজিএম তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ট্রান্সফরমারগুলোতে কাটাউটের পরিবর্তে সরাসরি ফিউজ দিয়ে সংযোগ সম্পন্ন করেন।
এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ঝড় তুফানের সময় যাতে ট্রান্সফরমারগুলির ফিউজ নষ্ট হয়ে যায়। বিগত ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সেচ মৌসুমের সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করি। কিন্তু ৫ মাস অতিবাহিত হলেও আমার আবেদনটি মঞ্জুর করা হয়নি।
পরবর্তীতে চুনারুঘাট শাখার ডিজিএম দিলীপ মজুমদার আমার নিকট ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দেওয়ার পরও সেচ সংযোগের আবেদনটি মঞ্জুর করা হয়নি। ফলে এলাকার শত শত কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, চুনারুঘাট উপজেলার বরমপুর এলাকার এনজিও পাশার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ হুমায়ূন কবির গত ২৫ এপ্রিল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৮, হবিগঞ্জে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলা আমলে নিয়ে দরখাস্তকারীর পক্ষে পরোয়ানা দাখিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জের উপ-পরিচালককে মামলা তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।