নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমী এন্ড হাইস্কুলে ২০১৬ সালের পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় সাধারণ ট্যালেন্টপুলসহ ৬২ বৃত্তি এসেছে। সম্প্রতি এ বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।
এর মধ্যে পিএসসিতে ৩১টি ট্যালেন্টপুল ও ৭টি সাধারণ, জেএসসিতে ৫টি ট্যালেন্টপুল ও ৯টি সাধারণ ও এসএসসিতে ২টি ট্যালেন্টপুল ও ৮টি সাধারণ বৃত্তি রয়েছে।
সূত্র জানায়- ২০১৬ সালে পিএসসি পরীক্ষায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১১৫ জন অংশ নিয়ে সবাই কৃতকার্য হয়। ৭৩টি ‘এ’ প্লাস আসে। একই সালে জেএসসি পরীক্ষায় ১৩৯ জন অংশ নিয়ে সবাই পাশ করে। ৫৭টি ‘এ’ প্লাস আসে এবং এসএসসি পরীক্ষায় ১৪৯ জনের অংশ নিয়ে শতভাগ রেজাল্টের মধ্যে ১৭টি এ প্লাস ছিল।
মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেট বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা ২০১২ সালে ১৪তম ও ২০১৪ সালে ১৮তম হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বৃটিশ কাউন্সিলের কানেকটিং ক্লাসরুমস প্রজেক্টের আওতায় ২০১২ ও ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।
যদিও ১৯৯৫ সাথে স্থাপিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথমে চালু করা হয় নার্সারি থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত। পাঠদানের ধারাবাহিকতায় নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম ৫ম শ্রেণি শিক্ষার্থীরা ২০১১ সালে পিএসসি, ২০১০ সালে জেএসসি ও ২০০৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ সফলতা নিয়ে আসেন।
বোর্ড কর্তৃক ১৯৯৯ সালে নিম্ন মাধ্যমিকের যাত্রা শুরু হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ভাল রেজাল্ট আসতে শুরু করে। যার ফলে ২০০৩ সালে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক জুনিয়র হাইস্কুলের স্বীকৃতি পায়। ধারাবাহিক শিক্ষার আলো ছড়ানোর ফলে ২০০৮ সালে মাধ্যমিকের স্বীকৃতি লাভ করে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এখানে শেষ নয়, এ বিদ্যাপীঠটি ২০১০ সালে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক জুনিয়র হাইস্কুলের এমপিও স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল হক দৈনিক শায়েস্তাগঞ্জকে বলেন- এখানে অবকাঠামোর অভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারমধ্যেও অতিযত্নসহকারে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসম্মত পাঠ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যার ফলে প্রায় শতভাগ রেজাল্ট আসছে। ২০১৬ সালে ৬২টি বৃত্তি এসেছে। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। চাই সবার সার্বিক সহযোগিতা।