চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমতলীর সুতাং নদীতে বালু উত্তোলণ নিয়ে দুই ইজারাদারের লোকজনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ইউএনও সিরাজাম মুনিরা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার এবং দেওরগাছ ইউপি চেয়ারম্যান চৌধুরী শামছুন্নাহার সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ও বালু জব্দ করেন। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বুধবার দুপুরে বর্তমান ইজারাদার জিতু মিয়া ও সাবেক ইজারাদার মাহবুবুল হক মিজানের লোকজন বালু উত্তোলণ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেন ইউএনও সিরাজাম মুনিরা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান চৌধুরী শামছুন্নাহার।
ইউএনও দুই ইজারাদারকে কাগজপত্র দেখাতে বললে ইজারাদার জিতু মিয়া ১৪২৪ বাংলা সনের সুতাং নদীর (গ) অংশের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৫৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার লীজের একটি কাগজ দেখান।
অপর ইজারাদার মাহবুবুল হক মিজান তার ১৪২৩ বাংলা সনের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি কাগজ দেখান। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউএনও সিরাজাম মুনিরা বালু জব্দ করেন এবং সেখানে পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে ইজারাদার শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক জিতু মিয়া বলেন, আমি ১৪২৪ বাংলা সনের সুতাং নদীর (গ) অংশের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ৫৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে লীজ এনেছি। এখন বালু তুলতে গেলে সাবেক ইজারাদার মাহবুবুল হক মিজান বাধা দিচ্ছে। অপরদিকে সাবেক ইজারাদার মাহবুবুল হক মিজান বলেন, আমার ১৪২৩ বাংলার বালু এখনও রয়ে গেছে। আমার স্তুপকৃত বালু বর্তমান ইজারাদার গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে ইউএনও সিরাজাম মুনিরা বলেন, আমি দু’পক্ষের সংঘর্ষের আশংকা দেখে বালু জব্দ করেছি ও পুলিশ মোতায়েন করেছি এবং দু’পক্ষকে বৃহস্পতিবার সকালে লীজের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি।