নিজস্ব প্রতিবেদক : শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় মাদকাসক্তরা ঝুঁকছে বিকল্প নেশার দিকে।এখন তাদের চলাচল ও ভিড় বেড়েছে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসিগুলোতে।এসব দোকানে কম মূল্যে ও সহজে মাদকাসক্তরা পাচ্ছে নেশাজাতীয় দ্রব্য।এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মাদকসেবী জানায়, পুলিশি তৎপরতায় মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে মাদকদ্রব্য কেনাবেচা করতে পারছে না মাদকসেবী ও বিক্রেতারা।তাই মাদকসেবীরা বিকল্প নেশার দিকে ঝুঁকছে।আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার এক শ্রেণির অসাধু ফার্মেসি মালিক ঝিমুনি, তন্দ্রা কিংবা ঘুম আসে, এমন ওষুধগুলো বিক্রি করছে দেদার। অনেক সময় তারা সরবরাহ সংকটের অজুহাত তুলে এসব ওষুধ-দ্রব্য চড়া দামে বিক্রি করে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বেশির ভাগ ফার্মেসিতে নেশাজাতীয় উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ অধিক হারে বিক্রি হচ্ছে।এ ছাড়া মাদকসেবীরা ফার্মেসি থেকে কফ-কাশির সিরাপ সংগ্রহ করে এর সঙ্গে ভিটামিনজাতীয় বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে এক ধরনের মাদক।এর নাম হয়েছে ঝাক্কি অথবা মিকশ্চার।
সূত্রে জানা যায়, ওষুধ কম্পানি প্রতিনিধিদের ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন কোনো ফার্মেসিতে ওষুধ সরবরাহের নিয়ম নেই।কিন্তু তারা সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি মালিকদের কাছে এসব ওষুধ বিক্রি করছে।
এ ছাড়া ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের তৎপরতা ও নজরদারি না থাকায় ওষুধ ব্যবসার আড়ালে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অসৎ কিছু ব্যবসায়ী বিক্রি করছে মাদকের উপকরণ ঘুমের ওষুধ ও কাশির সিরাপ।
এ বিষয়ে এক মেডিক্যাল অফিসার সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, ‘যারা এমনটি করছে, তারা সাময়িকভাবে তন্দ্রা, ঝিমুনি কিংবা ঘুমের ভাব পাচ্ছে। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই ভয়াবহ।এমন আসক্তদের দাম্পত্যজীবন অসুখী হয়।পরে শরীরে পানি লাগবে, কিডনি নষ্টসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হবে তারা এবং এর পরিণাম অকাল মৃত্যু।