বাহার উদ্দিন, লাখাই থেকে :
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বন্যা সতর্কবার্তা পেয়ে মাঠে নেমেছে কৃষি বিভাগ,নানা পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও অন্যান্য বৈশ্বয়িক আবহাওয়া সংস্থা সমুহ থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিক থেকে বেশী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে।
১০ এপ্রিল হইতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম( বরাক অববাহিকা) এবং মেঘালয় প্রদেশের স্থান সমুহে ভারী বৃষ্টি পাতের সম্ভবনা রয়েছে।
এমতাবস্থায় ১০ এপ্রিল হইতে ১৭ এপ্রিল নাগাদ বৃষ্টি পাতের ফলে উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের সুরমা,কুশিয়ারা, যদুকাটা,লভুছড়া,,সারিগোয়াইন,ধনাগাং,পিয়াইন,ঝালুখালী,সোমেশ্বরী,ভুগাই কংস,ধনুবাউলন নদনদী সমুহের সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।এর ফলে এ সময়কালের শেষার্ধে সিলেট,সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার এমনতর পূর্বাভাসে লাখাই উপজেলা কৃষি দফতর কৃষককূল এর স্বপ্ন বোরো নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে সতর্কতা মূলক প্রচারনা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার ও কৃষি অফিসার সরজমিন মাঠ পরিদর্শন করে করনীয় বিষয়ে কৃষকগন কে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।কৃষকগন যাতে যে জমির ধান শতকরা আশিভাগ পেঁকে যাবে সে জমির ধান কেটে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তরফে বন্যপ্রবন এলাকায় মাইকিং করে প্রচারনা চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপরে উপজেলা কৃষি অফিসার শাকিল খন্দকার জানান আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কবানী পেয়ে আমরা কৃষকগন কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও জমির ধান শতকরা আশি পেকে গেলেই কাটার জন্য কৃষকগন কে বলে যাচ্ছি।