এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ ল কলেজের ছাত্রীকে সাতছড়ি বাগানে নিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষতের ঘটনার মূল হোতা লম্পট রমজান আলী (৩৫) এখনো গ্রেফতার হয়নি।

এদিকে ওই ছাত্রীর অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। মামলা তুলে নিতে রমজান অজ্ঞাতস্থান থেকে ছাত্রী ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। চুনারুঘাট উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত হাজি নুরুল ইসলামের কন্যা হবিগঞ্জ ল কলেজের ছাত্রী আহত আসমা জানায়, এক বছর পূর্বে চুনারুঘাট সদরের হাতুন্ডা গ্রামের নিম্বর আলীর পুত্র রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৩৫) প্রতারণার মাধ্যমে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য তার উপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আসমা পিত্রালয়ে চলে আসে।

এরপরেও রমজান আসমার পিছু ছাড়েনি। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সম্প্রতি রমজানের সাথে সাতছড়িতে যায়। সেখানে রাজু ও তার দুই তিনজন বন্ধু মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ে ও হাতের রগ কেটে ফেলে এমনকি তার মুখমন্ডল বিকৃতি করে ফেলে।

বাগানের প্রহরীরা আসমাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আশংকাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ২ মাস চিকিৎসাধীন থেকেও আসমা সুস্থ হয়নি।

বর্তমানে শয্যাশায়ী অবস্থায় বাড়িতে রয়েছে। সে উঠে দাড়াতে পারে না। এদিকে আসমার ভাই বাদি হয়ে রমজান আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করলে রমজান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বিভিন্নস্থান থেকে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ অমূল্য কুমার জানান, আসামী ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।