স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু হত্যার ঘটনায় শিগগিরই চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হবে। রবিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তাদির আলম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, হত্যা মামলাটির তদন্ত এখনো শেষ হয়নি, তবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ইতোমধ্যে পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত পঞ্চায়েত আব্দুল আলী বাগল, তার পুত্র জুয়েল ও রুবেল একই গ্রামের শাহেদ, সালেহ আহমেদ ছায়েদ, আরজু ও বশির নামে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা হবিগঞ্জ কারাগারে রয়েছে। এর মধ্যে অভিযুক্ত জুয়েল, রুবেল, আরজু ও শাহেদ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এছাড়া হত্যা মামলার আরেক আসামি অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহত শিশুরা হলো ঃ বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার পুত্র প্রথম শ্রেণীর ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের পুত্র চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার নুরাণী প্রথম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল কাদিরের পুত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। তাদের মধ্যে শুভ, মনির ও তাজেল একে অপরের চাচাতো ভাই। ১২ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় ওই চার শিশুকে অপহরণ করা হয়। পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্র“য়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালুমিশ্রিত মাটিচাপা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বড়ই গাছ কাটাকে কে›ত্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী ওরফে বাগল মিয়ার বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে শিশুদের অপহরণের পর হত্যা করা হয়।