এম এ আই সজিব ॥ লাখাই উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতা ও গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষের জের ধরে প্রতিপক্ষের পুরুষশূণ্য বাড়িতে হামলা ভাংচুর এর তান্ডব চালিয়ে ঘর-বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে মেম্বারের লোকজন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
যে কোন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত ৩০ জুন লাখাই উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে মজিবুর রহমান মেম্বারের সাথে পটল ও হিরাই মিয়ার লোকজনের নির্বাচনী বিরোধ ও গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ওই গ্রামের আব্দুস সমেদের পুত্র ওয়াহেদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয় এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ওয়াহেদ মিয়ার হত্যাকান্ডের ঘটনায় পূরুষ পূন্য হয়ে পড়ে লক্ষিপুর গ্রাম। ইতিমধ্যে, ওয়াহেদ মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনার জের ধরে মেম্বার মজিবুর এর নেতৃত্বে বাবুল মিয়া,সালাউদ্দিন, জানু, আবু সিদ্দিক, জবেদ আলী, মোহাম্মদ আলী, আবুল বাশার, আলমগীর তালুকদারসহ একদল লোকজন প্রতিপক্ষ পুুরুষশূণ্য বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট তান্ডব চালিয়ে ঘর-বাড়ি গুড়িয়ে দেয়।
এতে ওই এলাকার টেনাই মিয়া,আব্দুল আহাদ, ইব্রাহিম মিয়া, নাসির মিয়া, হবিব মিয়া,হীরা মিয়া, জিতু মিয়া, হুছন আলী, রফিক মিয়া, আব্দুস সামাদ, হীরণ মিয়া, ছলিম মিয়া, শাহেদ মিয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয় বলে জানান এলাকাবাসী। এতে তাদের বাড়ি ঘরে থাকা ধান,চাউল, গরু, ছাগল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায় মেম্বার মজিবুর এর লোকজন। তাদের ওই ভাংচুরের তান্ডবে কয়েকটি দেয়ালের ঘর বাড়ি মাটির সাথে মিশে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
যে কোন সময় আবারও বড় কোন ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে পুরুষশূণ্য বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুরের তান্ডব চালানো ঠিক হয়নি। এতে করে তাদের কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।