নিজস্ব প্রতিনিধি, বাহুবল (হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিদ্যালয়ের জন্য বাথরুম, ৪টি দরজা, ৮টি জানালা ও ছাদে জলচাপ এবং বারান্দা মেরামত কাজের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

সম্প্রতি উক্ত বরাদ্দের অর্থে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দাল মিয়া মেরামত কাজ শুরু করেন। কিন্তু তারা বিদ্যালয়ে সামন্য কিছু ঘষামাষা করে ভুয়া-বিল বাউসার দাখিল করে উক্ত অর্থ আত্মসাতের পায়তারা শুরু করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশল অফিসের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আলফাজ মোটা উৎকুচের বিনিময়ে উক্ত আত্মসাতকে হালাল করার চেষ্টা চালাছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করলেও স্থানীয় অভিভাবক আলফি মিয়া দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের মেরামত কাজে বরাদ্দের অর্ধেক টাকাও খরচ করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাকী টাকা আত্মসাত করেছে।

দীর্ঘদিন ধরেই সদ্য জাতীয়করণকৃত ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের গাছ, ভূমি ও অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত রয়েছেন। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকরা সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছে মত আসা-যাওয়া করেন। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান দিন দিন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতে গত পিএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এর প্রভাব পড়ে। এ নিয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা বার বার অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না।