কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/ সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউকঃ
শায়েস্তাগঞ্জে সরকারী বীজের সংকট দেখা দেয়ায় প্রায় তিনগুন বেশি দামে বীজ বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।
এখন ধান বপনের সময়, শায়েস্তাগঞ্জে কৃষকের চাহিদামত ধানের বীজ মিলছে না। আমন ধান বীজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সরকারি বীজ ৩শ টাকা ১০ কেজির বস্তা করে বিক্রি হয়।
এখন আমন ধানের মৌসুম, আমন ধানের তিনরকম বীজের চাহিদা বেশি ৪৯, ১১, ৩৪, এইগুলোর ফলন বেশ ভাল হয়।
সরকারি বীজের সংকট থাকায় কোম্পানী গুলো ৩শ টাকার বস্তা ১ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাও আবার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
বস্তার গায়ে মুল্য লেখা থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। শায়েস্তাগঞ্জে বিভিন্ন কোম্পানি বীজ বিক্রি করে থাকে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য
কোম্পানী রায়হান সীড, কৃষিবিদ সীড, নীল সাগর সীড।
এরই মধ্যে কিছুদিন আগে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা ও ইউনিয়ন উপ-সহকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন কোম্পানীর ২শ বস্তা ধানের বীজ আটক করেন। পরে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার সমাধান করা হয়।
বীজতলা তৈরীর সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকারী ভাবে বীজ সরবরাহের কোন উদ্যোগ নেই, তাই আসন্ন আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
প্রতিবছর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বি এ ডি সি) এ বীজ সরবরাহ করলেও এবার বীজতলা তৈরীর মৌসুম চলে গেলেও বীজের সরবরাহ নেই, স্থানীয় ডিলারদের ঘর এখনও ফাঁকা,বীজ না পেয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুরাবই গ্রামের কৃষক নুরুল হুদা করেন,বীজের জন্য গত ১৫ দিন যাবত কোন ডিলারদের কাছেও সরকারি বীজ নেই এমন অবস্থায় চরম উৎকন্ঠায় আছি,এ দিকে বীজতলা তৈরীর সময় চলে যাচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উবাহাটা গ্রামের কৃষক মহিবুর রহমান মুরাদ বলেন,বীজের যে সংকট তাতে এবারের ধান চাষ করতে পারব কিনা তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ৪৯ ধানের সরকারি বীজ বাজারে পাওয়াই যাচ্ছেনা।
এর সুযোগে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজের তিন গুন বেড়ে গেছে।
শায়েস্তাগঞ্জ এর বীজের ডিলার রনজন দাস জানান, আমরা সরকারী বীজ লাইন ধরিয়ে ৩০০ টাকা করে বস্তা বিক্রি করেছি, অন্যান্য বীজ ১০ কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা বিক্রি করি, বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এইগুলো অভিযোগ সত্য নয়।
নীল সাগর সীড এর বিক্রয় অফিসার মতিউর রহমান বলেন আমাদের বীজ ১০ কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা ডিলার বিক্রি করে থাকেন, এবার লকডাউনের জন্য ক্যারিং খরচ বেশি পড়ছে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন কৃষি অফিস বীজ সরবরাহ করে না। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বীজ সরবরাহ করে থাকে। আর বীজের মান নিয়ন্ত্রনের দ্বায়িত্বে বীজ প্রত্যয়ন অফিস। তবে কৃষি অফিস বীজ বাজার মনিটরিং করে।
সম্প্রতি কৃষি অফিসার দুই কর্মকর্তা শায়েস্তাগঞ্জের দুই ডিলারে দোকানে প্রায় ২শ বস্তা বীজ আটক করে গায়ে মুল্য না থাকার কারনে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা জাহিদুল আমিন বলেন ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে ঝুকছেন। প্রতি মৌসুমে যে যতটুকু ধান লাগানো হয়। এবার তার দিগুন জমিতে ধান চাষ করছেন কৃষকরা। তাই বাজারে সরকারি বীজের সংকট আছে তবে সব বীজের না বিশেষ করে ৪৯ ধানের বীজের সংকট রয়েছে। এ ধানের চাহিদা বেশি হওয়ায় বি এ ডিসি ডিলারদের চাহিদা অনুয়ায়ি সরবরাহ করতে পারছেনা।
এই সুযোগে যাতে কেউ অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো: আব্দুর রকিব
সম্পাদক ও প্রকাশক: সাখাওয়াত হোসেন টিটু
সহযোগী সম্পাদক : তোফাজ্জল হোসেন অপু, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : গাজীউর রহমান ইমরান
বার্তা সম্পাদক : কামরুজজামান আল রিয়াদ, নির্বাহী সম্পাদক : মো: জালাল উদ্দিন রুমী।
অফিস-১ : উদয়ন আবাসিক এলাকা শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
আঞ্চলিক অফিস : নূরপুর হাইস্কুল রোড, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
নিউজ প্রেরনের জন্য e-mail : shaistaganjnews@gmail.com
Web site- www.shaistaganj.com
মোবাইল নাম্বার- ০১৭৪০৯৪৩০৮২ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
মোবাইল নাম্বার- ০১৭১৬৪৩৯৬২৫ (বার্তা সম্পাদক )
© All rights reserved © 2023 shaistaganj