মোঃ আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বিশ্বনাথ উপজেলা। উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা ভোটার ও কাউন্সিলারদের কাছে ধরনা দিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাও করছেন।

নতুন প্যানেলের নেতারা পুরনোদের সাংগঠনিক ব্যর্থতার দিক তুলে ধরছেন।

অন্যদিকে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্তরাও তাদের অতীতের সফলতা তুলে ধরে নতুনদের চ্যালেঞ্জ করছেন। কাউন্সিলরদের মন জয় করতে নেতৃস্থানীয়দের প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে উপজেলা আওয়ামী রাজনীতির মাঠ।

বর্তমানে আওয়ামীলীগের কোনো কর্মসূচী না থাকায় রাজপথ ছেড়ে নেতারা বাড়ি বাড়ি ভোটাদের কাছে প্রার্থনা করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের ভোট চায়। ফলে জমে উঠতে বসছে আওয়ামী লীগের সম্মলেন। তবে এবারের সম্মেলন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা।

এদিকে, তৃণমূল কয়েকজন নেতার সাথে আলাপ করে জানাযায়, এবারের সম্মেলনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে এখনও বলা মুশকিল কে হবেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

দলীয় সূত্রে জানাযায়, ২০০৪ সালে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মরহুম আবদুস সামাদ আজাদ উপস্থিততে উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন এবং একটি কমিউনিটি সেন্টারে কাউন্সিল অধিবেশের মাধ্যমে সম্মেলন সম্পন্ন হয়। ২০০৪ সালে সেপ্টেবর মাসে মজম্মিল আলীকে সভাপতি ও বাবুল আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

ইতি মধ্যে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কাউন্সিলরা আগামি ৮জুন নির্বাচিত করবেন তাদের পছন্দের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। আর নেতৃত্বের এই লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন ছয় নেতা। তারা হলেন-সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মজম্মিল আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা পংকি খান ও ফখরুল ইসলাম মতছিন, সাধারণ সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ ও আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, রাজনৈতিক ক্লিন ইমেজ ধারীদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা বলছেন, এবার আ’লীগের সৎ-যোগ্য, দক্ষ-সাহসী এবং ত্যাগী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে দেখতে চান তারা।

যারা দল এবং নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি তৃণমূলের সমর্থন থাকবে।

সভাপতি প্রার্থী মজম্মিল আলী বলেন, দীর্ঘদিন দল এবং নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকতে চাই। দলকে সংগঠিত রাখতে যোগ্যদের মনোনীত করতে কাউন্সিলরা ভুল করবেন না।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফারুক আহমদ বলেন, দলকে সংগঠিত এবং দলের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে কাউন্সিলরদের কাছে যাচ্ছি। আশা করি সম্মেলনে নির্বাচিত হব।