হামিদুর রহমান মাধবপুর থেকে : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আনন্দ স্কুলের গুলোর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবহেলায় , অযত্নে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ঢুবতে বসেছে। স্কুলের নামে চলছে চড়ম নৈরাজ্য।

একের পর এক এক স্কুলের অনুমোদন দিয়ে টিসি আলমগীর ও মনিটরিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। শিক্ষকরা স্কুলে না গিয়েও বেতন উত্তোলন করছে। এ থেকে একটি পারসেনটিস পাচ্ছেন টিসি(প্রকল্প সমন্বয়ক) আলমগীর মিয়া ও গোলাম মোস্তফা। পৌর সভা সদরের পশ্চিম মাধবপুর আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা সোমা রানি দাশ বিয়ে হয়েছে প্রায় ৫ মাস। কিন্তু স্কুলে না গিয়েও তিনি বেতন উত্তোলন করছেন।

শিক্ষিকা স্কুলে না যাওয়ায় ছাত্র- ছাত্রীদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারের মধ্যে চড়ম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে পৌরসভার আলকপুর গ্রামের আনন্দ স্কুলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানকার শিক্ষিকা আকলিমা এখন ব্রাক্ষণবাড়িয়া পরীক্ষা দিচ্ছেন। তার জায়গায় তার ছোট বোন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাছলিমা ছাত্র- ছাত্রীদের পড়ান।

এ ব্যাপারে আকলিমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি টিসির কাছ থেকে ছুটি নিয়েছি। টিসি আলমগীর জানান, আকলিমা আমার কাছে থেকে মৌখিক ছুটি নিয়েছে। তার জায়গায় তার ছোট বোন কি ভাবে ক্লাস করান জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।পশ্চিম মাধবপুর আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা সুমা রানির দাশের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় স্কুলে পড়া শুনা বন্ধ।

এই বিষয়ে টিসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিয়ে হলেও তিনি স্কুল করেন। অথচ স্থানীয় বাসিন্দারের অভিযোগ সুমা অনেক দিন যাবত স্কুল করেন না। বিয়ের পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। মনিটিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে বেতন নিচ্ছেন।অথচ প্রতিদিন স্কুল গুলো সরজমিন গিয়ে দেখা তার দায়িত্ব।