সৈয়দ সালিক আহমেদ :
ভোটার তালিকা হালনাগাদে বিড়ম্বনার আরেক নাম হয়ে দাড়িয়েছে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন। অনলাইন জন্ম নিবন্ধনে লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখের সাথে শিক্ষাগত সনদের মিল নাই।
আবার জন্ম নিবন্ধনে মিমি আক্তার কিন্তু শিক্ষাগত সনদে মিলি আক্তার, কারো কারো বাবা মায়ের নামের সাথে মিল নাই। কিন্তু জন্ম নিবন্ধন হতে হবে অনলাইন, হাতে লেখা প্রযোজ্য নয়। জেলা নিবার্চন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ছাড়া নতুন করে কেউ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেনা।
এতে করে তথ্য সংগ্রহকারীরা যেমন পড়েছেন বিপাকে, অন্যদিকে অনেক নতুন ভোটার নিজের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে পারছেন না। সাধারণ মানুষ মনে করছে, ইউনিয়ন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা ভুল করেছে, আর এখন খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদেরকে।
গত শুক্রবার থেকে সদর এবং বাহুবল উপজেলায় ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়।
চলবে টানা ৩সপ্তাহ তথ্য সংগ্রহ। প্রথম দিন গোপায়া ইউনিয়নের বহুলা গ্রামে সরেজমিন দেখা যায়, অনেকে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন নিয়ে এসেছেন, আবার অনেকের মা বাবার নামের সাথে ছেলে/ মেয়ের জন্মনিবন্ধনে মিল নেই।
এসময় তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ কামাল মিয়া দৈনিক শায়েস্তাগঞ্জকে জানান, প্রায় ৫০জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সকল কাগজপত্র যাছাই বাছাই করে মাত্র ১০জনের তথ্য লিপিবদ্ধ করতে পেরেছি। বাকী ৪০জনকে বলে দিয়েছে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিয়ে আসতে। কারণ অনলাইন জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
লোকড়া ইউনিয়নের তথ্য সংগ্রহকারী প্রবোধ চন্দ্র দাস জানান, ১০জন মানুষের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ৭জনের অনলাইন জন্ম সনদ পাওয়া যায় নাই। যার কারণে তাদের তথ্য আমি লিপিবদ্ধ করি নাই। সবাইকে বলে দিয়েছি অনলাইন জন্ম সংগ্রহ করার জন্য।
সালমা বেগম নামে এক অভিবাবক বলেন, হাতে লেখা জন্ম সনদ এবং স্কুল সার্টিফিকেট অনুসারে আমার ছেলের নাম মাসুদ মিয়া, কিন্তু ইউনিয়ন অফিস থেকে সংগ্রহ করা অনলাইন জন্ম সনদে দেখা যায় মাসুদা মিয়া। কিন্তু এখন সংশোধন করতে গেলে আগে আমার ও আমার স্বামীর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে, তারপর আমার ছেলের জন্য আবেদন করতে হবে।
মিলি আক্তার নামে একজন নতুন ভোটার জানান, আমার প্রকৃত ও স্কুল সনদে নাম হলো মিলি আক্তার আক্তার, কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে জন্ম সনদ নিয়ে এসেছি তাতে লেখা মিমি আক্তার। তাই তথ্য সংগ্রহকারী আমার নাম অন্তর্ভুক্তি করেন নাই।
গোপায়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ জানান, আমি নিজে সকাল থেকে প্রায় ৫০জনের কাছে গেছি, তাতে দেখা যায় প্রায় ৪০জনের অনলাইন জন্মসনদের সাথে স্কুল সার্টিফিকেট কিংবা হাতে লেখা জন্ম সনদের মিল নাই। এতে করে অনেকে ভোটার হওয়া থেকে বাদ পড়তেছেন।
জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ছাড়া নতুন করে কেউ ভোটার হতে পারবেনা। তথ্য সংগ্রহকারী তাৎক্ষনিক জন্ম সনদ যাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর তালিকাভুক্ত করা হবে। তবে যদি কেউ ছবি তোলা পর্যন্ত জন্ম সনদ সংশোধন করে নিয়ে আসেন, তাহলে আমরা তাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করব।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো: আব্দুর রকিব
সম্পাদক ও প্রকাশক: সাখাওয়াত হোসেন টিটু
সহযোগী সম্পাদক : তোফাজ্জল হোসেন অপু, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : গাজীউর রহমান ইমরান
বার্তা সম্পাদক : কামরুজজামান আল রিয়াদ, নির্বাহী সম্পাদক : মো: জালাল উদ্দিন রুমী।
অফিস-১ : উদয়ন আবাসিক এলাকা শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
আঞ্চলিক অফিস : নূরপুর হাইস্কুল রোড, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
নিউজ প্রেরনের জন্য e-mail : shaistaganjnews@gmail.com
Web site- www.shaistaganj.com
মোবাইল নাম্বার- ০১৭৪০৯৪৩০৮২ (সম্পাদক ও প্রকাশক)
মোবাইল নাম্বার- ০১৭১৬৪৩৯৬২৫ (বার্তা সম্পাদক )
© All rights reserved © 2023 shaistaganj