স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর পৌর শহরে সরকারি জায়গায় দোকান নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার সকালে সেই দোকানঘর উচ্ছেদ করলো সহকারী কমিশনার (ভুমি) রফিকুল ইসলাম। এদিকে এ ঘটনায় পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সকালে মাধবপুর থানায় এ দুইটি মামলা হয়।
জজ মিয়া পাঠান বাদী হয়ে যুবসংহতি উপজেলা সভাপতি ফকির কাউছার আহম্মেদকে প্রধান করে ৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের নাম উলেখ করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেন।
অন্যদিকে সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা মনির ইসলামকে প্রধান আসামী করে অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
উলেখ্য গত বুধবার বিকেলে পৌর শহরের ভিতর একটি সরকারি জায়গায় দোকান নির্মাণ নিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় দুপক্ষের লোকজন দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মাসুদুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে এই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করে পূর্ব মাধবপুর এলাকার জাবেদ, সাদ্দামসহ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কয়েকজন নেতা। এ সময় পশ্চিম মাধবপুরস্থ কৃষ্ণনগর বহুমুখী সমবায় সমিতির লোকজনও বাধা দিলে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী ও কৃষ্ণনগর বহুমুখি সমবায় সমিতির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দফায় দফায় সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (দক্ষিন) মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্ট গানের ১১ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশের নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা ফকির জাবেদ বলেন, আমরা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের অফিস করার জন্য ঘর নির্মান করি। এ সময় কৃষ্ণনগর বহুমুখি সমবায় সমিতির লোকজন এসে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কৃষ্ণনগর বহুমুখি সমবায় সমিতির সদস্য দারু মিয়া পাঠান জানান, এই জায়গাটি দীর্ঘ দিন যাবত সমিতির দখলে। হঠাৎ করে সড়ক পরিহন শ্রমিক লীগের কয়েকজন লোক আমাদের দখল করা জায়াগায় স্থাপনা নির্মাণ করে। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্য সংঘর্ষ হয়। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোলা মনির হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুই পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে।
তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভুমি) রফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করে।