আবু হেনা, আজমিরীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কোচিং বানিজ্যের প্রতিযোগিতা চলছে। স্কুল ও বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে সেন্টার খোলে স্বস্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং বানিজ্যে ব্যস্থ্য রয়েছে।
অভিবাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শুধু বইয়ের অধ্যায় ধরে পড়ান। তারা আরো জানান, তাদের সন্তানদের ভালো ফলাফলের আশায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্বস্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট কোচিং করাতে বাধ্য হচ্ছে। তারা আরোও জানান, শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার মান ভালো না থাকায় তাদের সন্তানদের ভালো ফলাফলের আশায় কোচিংয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী কোন শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্টানের কোন শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং করাতে পারবেনা।
নিতিমালা অনুযায়ী অন্য কোন প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীকে বাসায় পড়ানোর জন্য প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শ্রেণী ক্রমিকনংসহ নামের তালিকাসহ উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত ভাবে জানানোর কথা। কিন্তু কোচিংবাজ শিক্ষকরা এসব নিয়মনীতি তুয়াক্কা করছে না।
আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার লাল মিয়ার বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, এ.বি.সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম উল্লেখিত স্থানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে স্ব বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীদেরকে সকাল-বিকাল বিভিন্ন শ্রেণীর কোচিং করাচ্ছে।
তাদেও নিকট থেকে জনপ্রতি ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা করে কোচিং ফ্রি নিচ্ছে। এব্যাপারে এ.বি.সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষকগণই স্বস্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং পড়াচ্ছে, তবে কেহই আমার অনুমতি নেয়নি। সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং পড়ানোর কথা শিকার করে বলেন, পূর্বে নিতিমালা ছিল তখন আমি কোচিং বন্ধ করেছিলাম, বতমানে নিতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে।
তবে আমি একা কোচিং পড়াইনা আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরাই বিভিন্ন স্থানে কোচিং পড়ায়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকি বলেন, নিয়ম হলো অন্য বিদ্যালয়ের ক্ষিার্থীদেরকে পড়ানো যাবে তবুও প্রতিষ্টানের প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে । তিনি আরো বলেন, এব্যাপারে আমার কোন কিছু করার নাই। প্রতিদিনই দেখি তারা কোচিং পড়াচ্ছে।
তবে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট রির্পোট করতে পাড়ি। কোচিং বানিজ্য বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হলে স্কুল বিদ্যালয়ে লেখা পড়ার মান ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন সচেতন এলাকাবাসী।