বাহুবল প্রতিনিধি : ঢাকা থেকে সিলেটমুখী আন্তঃনগর ট্রেন কালনী এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলার সময় ট্রেনটির চালক গতি বাড়িয়ে দ্রুত ওই এলাকা অতিক্রম করে হামলা এড়িয়েছেন বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে, পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী বড়গাঁও গ্রাম থেকে ভোররাত ৩টার দিকে ওই গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের পুত্র আলী হোসেন ভূইয়াকে (৩০) আটক করেছে। সে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জের রশিদপুর আউটার সিগন্যাল এলাকায় এই হামলা হয় বলে কালনী এক্সপ্রেসের সহকারী চালক অনল বিশ্বাস মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল স্টেশনে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাহুবল উপজেলার রশিদপুর আউটার সিগন্যাল এলাকায় ঢোকার সময় এক তরুণ ট্রেন লক্ষ্য করে পরপর তিনটি পেট্রোল বোমা ছুড়ে। তখন তিনি ট্রেনের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সিগন্যাল এলাকা ত্যাগ করেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী যাত্রীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ট্রেনটি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সাটিয়াজুরী স্টেশন ছেড়ে রশিদপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সী তরুণটি ট্রেন লাইনের পশ্চিম দিক থেকে (রেল লাইনে আসা গ্রামের একটি রাস্তার উপর থেকে) চলস্ত ট্রেনে পরপর তিনটি পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে। প্রথম বোমাটি ইঞ্জিনে পড়ে। বাকি দু’টি ‘ঙ’ ও ‘ঝ’ বগির উপর পড়ে প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ট্রেনের জানালা বন্ধ থাকায় তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বগিগুলোর জানালার আশপাশের রং ঝলসে গেছে বলে জানান। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ফয়জুল হক জানান, ট্রেনটি শ্রীমঙ্গলে স্টেশন এসে আধঘণ্টা থামে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যের প্রহরায় রাত পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটি সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ভোরে জিআরপি থানার ওসি জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই গ্রামের আলী হোসেন ভূইয়া নামে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।