সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক : করোনাকালে শায়েস্তাগঞ্জে বিয়ে সাদীর ধুম পড়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাচার জন্য সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। সীমীত পরিসরে অফিস আদালত, দোকানপাট খোলা থাকছে। স্বাভাবিকভাবে বিয়ে সাদী হলেও ঘরোয়া পরিবেশেই হোক বা কমিউনিটি সেন্টারেই হোক ব্যপক পরিসরে দাওয়াত দিয়ে বরভাত ও বউভাত করা হত। কিন্তু করোনার কারণে লোকসমাগম না করা হলেও থেমে নেই চুপিসারে পাত্রকে বিয়ে করানো, কন্যাকে বিয়ে দান। বরং লকডাউনে বিয়ে আগের তুলনায় বেশিই হচ্ছে। তবে এখনের বিয়েগুলো ভিন্নরকম।প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বিয়ে করার জন্য নেই বিয়ের গাড়িতে সাজসুলভ। বর বিয়ে করতে যাচ্ছেন কোনরকম শেরওয়ানী পোষাক ছাড়াই।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু জায়গায় খোজ নিয়ে দেখা যায়, সকাল ৬টায় বরপক্ষ কনের বাড়িতে গিয়ে হাজির। এক দুই ঘন্টা সেখানে অবস্থান করেই বিয়ের যাবতীয় প্রয়োজনীয় আকিদা শেষ করে বউ নিয়ে চলে আসছেন। এই করোনাকালে বিয়ে বেশ ঝুকিপুর্ণ হলেও আশার বাণী হচ্ছে বর পক্ষ ও কনে পক্ষ সবাই বেশ খুশি। এখনের বিয়েতে আগের তুলনায় খরচপাতি নেই বললেই চলে। তাই এই কঠিন সময়কেই সবাই কাজে লাগাতে উপযুক্ত পাত্রপাত্রীদেরকে চুপিসারেই বিয়ে দিয়ে নিজের দ্বায়বদ্ধতা সারছেন অসচেতন অভিবাবকগণ।
এই করোনাকালে বিয়ে সাদীর বিষয় নিয়ে কথা হয় হবিগঞ্জ কাজী সমিতির সভাপতি ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কাজী আব্দুল জলিলের সাথে, এই করোনাকালে শায়েস্তাগঞ্জে কতগুলো বিয়ে হয়েছে উনাকে জিঞ্জেস করা হলে তিনি জানান, নির্দিস্ট করে কতগুলো বিয়ে হয়েছে বলতে পারব না। তিনি বলেন, সর্বপরিসরে যতগুলো বিয়ে হয় আমি যাই। বিয়ে করার ব্যাপারে সরকারী কোন নির্দেশনা আছে কিনা বললে তিনি জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ২৫জন লোক সমাগম করে বিয়ে করানো যাবে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, বিয়ের ব্যাপারে সরকারী কোন নির্দেশনা আছেকিনা আমার জানা নেই।কাউকে না জানিয়ে ঝুকি নিয়ে বিযে করানো হলে আমাদের কি করার। তবে অনুষ্ঠান করে কোথাও বিয়ে করানোর খবর পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
দৈনিক শায়েস্তাগঞ্জ ডটকম/০৩ জুলাই ২০২০/এস এইচ