সৈয়দ সালিক আহমেদ, হবিগঞ্জ : চারদিকে হলুদের সমারোহে বিশাল মাঠ, তার সাথে মৌমাছির গুনগুন গুঞ্জন। যতদুর চোখ যায়, বিস্তৃণ মাঠ আর ভেসে উঠে হলুদ প্রান্তর, এ যেন এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। আর এদৃশ্য ফুটে উঠে হাওর বেষ্টিত লাখাইয়ের ৪টি ইউনিয়নে।
হবিগঞ্জ লাখাই উপজেলায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় চলতি বছর ৪টি ইউনিয়নে প্রায় ১৭৩০ একর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
এসব সরিষা চাষের ফলেএকদিকে যেমন ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরন হচ্ছে অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে এই সম্ভাবনাময় ফসল।
এবছর সরিষা চাষের পাশাপাশি লাখাইয়ে মধু সংগ্রহের জন্য মধুবক্স স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে যেমন মৌমাছির মাধ্যমে সরিষার মধ্যে পরাগায়ন হবে, ফলন বাড়বে, তেমনি করে রাসায়নিকের ব্যবহার কমে আসবে। কৃষকের খরচ এবং পরিশ্রম দুটোই কমে আসবে।
৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০টি মধু বক্স স্থাপন করা হয়েছে। মধু চাষিরা আশা করছেন, এসব মধু বক্স থেকে চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০০ লিটার মধু সংগ্রহ করতে পারবেন। যার বাজার মূল্য হবে আনুমানিক ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারী) আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম মধু সংগ্রহ করা হয় উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৌবাড়ী এলাকা মাঠ থেকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন কুমার দে, মৎস্য অফিসার ইসহাক তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোহাম্মদ আজহার মাহমুদ, লাখাই রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মো বাহার উদ্দিন, সাংবাদিক মহি উদ্দিন আহমদ রিপন,আতাউর রহমান, উপসহকারী কৃষি অফিসার মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোহাম্মদ আজহার মাহমুদ বলেন, জেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমরা কৃষকদেরকে মাঠ পর্যায়ে মধু চাষের জন্য উদ্ধোদ্ধ করেছি। মধু চাষীদেকে সব সময় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।
সরিষা চাষী মলাই মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস আমাদেরকে বীজ রোপন থেকে শুরু করে সব সময় পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে। তবে এবিষয়ে মাঠ পর্যায়ে আমাদেরকে আরো প্রশিক্ষিত করলে আমরা ভাল ফলন করতে পারব বলে আশা রাখি।