সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ : বুধবার দেশের কোথাও দেখা যায়নি চাঁদ, তাই শুক্রবার পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর ও ভিন্নধর্মী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। ঈদে সীমিত আয়ের মানুষরা ও সাধ্যের মধ্যে পরিবার পরিজনদের নিয়ে ভাল খাবার দাবারের সরঞ্জাম কেনার চেষ্টা করে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শায়েস্তাগঞ্জে টাটকা দেশী গরুর মাংসের স্বাদ পেতে মাংস ব্যবসায়ী ছাড়াও মিলেমিশে কিনছেন গরু। কেউ কেউ আগামীকাল জবাই করবেন, আবার অনেকেই ঈদের দিন সকালে গরু জবাই করবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের বাজারে বাজারে বড় বড় ষাড় কিনে সাজিয়ে রাখছেন ব্যাবসায়ীরা। উপজেলার সুতাং বাজারের মোঃ রিপন মিয়া কয়েকজন মিলে এক লক্ষ পচাত্তর হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন কালা বাহাদুর। কালা বাহাদুর দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি তার রয়েছে আপাদমস্তক শরীর।
রিপন মিয়া জানান, তিনি গরুর মাংসের ব্যবসা করেন না, ঈদে সবাইকে ভাল মাংস কম দামে খাওয়ানোর জন্যই তার এ উদ্দোগ। তিনি জানান, কালা বাহাদুরের ওজন প্রায় ৮ মণ।
তারা ঈদেরদিন সকালে এটিকে জবাই করবেন। কালা বাহাদুরের মাংস পেতে অনেকেই অগ্রীম টাকা দিয়ে বুকিং করেছেন। গরু জবাই করে ১৮০ টি ভাগ করা হবে, যার প্রতিটি ভাগে থাকবে ১ কেজি ৭০০ গ্রাম মাংস। প্রতিটি ভাগ এক হাজার টাকা করে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। রিপন মিয়া গ্রাম থেকেই এই দেশীয় খাবার খেয়ে বেড়ে উঠা কালা বাহাদুরকে খরিদ করেছেন।
এভাবে প্রতিবছরই ঈদ উপলক্ষে গরু কিনে জবাই করে বিক্রি করা হয়। এভাবে শায়েস্তাগঞ্জের দাউদনগর বাজার, ড্রাইভার বাজার, সুতাং বাজার, বাছিরগঞ্জ বাজার, অলিপুর বাজারে কেনা হয়েছে কয়েকশ গরু, যেগুলা ভাগ করে বিক্রি করা হবে। ঈদের দিন গরুর মাংস ছাড়া মানুষের চলেই না।