বাহার উদ্দিন, লাখাই প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের লাখাইয়ের ধর্মপুর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্যালকের আঘাতে আহত দুলাভাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে জমিজমা ও টাকাপয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক শেষে বাড়ী ফেরার পথে শালা নুর আলম ও শাহ আলমের আঘাতে গুরুতর আহত হন দুলাভাই আব্দুল হাই।
পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য তাকে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তাররা অবস্থা গুরুতর দেখে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৪ জুলাই রবিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে আব্দুল হাই মারা যান।
এদিকে অভিযুক্ত নুর আলম ও শাহ আলম ধর্মপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র এবং তাদের নিহত দুলাভাই আব্দুল হাই একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আরজত আলীর পুত্র।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আব্দুল হাই এর সাথে জমিজমা ও টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শ্যালক নুর আলম ও শাহ আলমের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ৩০ জুন এই বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ধর্মপুর গ্রামের চকবাজার নামক স্থানে সালিশ বৈঠক হয়। শালিশে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা না হওয়ায় শালিশ থেকে আব্দুল হাইয়ের বাড়ী ফেরার পথে তার শালা নুর আলম ও শাহ আলম এর সাথে আব্দুল হাইয়ের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে নুর আলমের আঘাতে আব্দুল হাই গুরুতর আহত হন।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ ব্যাপারে নিহত আব্দুল হাইয়ের পুত্র আব্দুর রউফ জানান, জমিজমা ও টাকাপয়সা লেনদেন জনিত ব্যাপারকে কেন্দ্র করে নুর আলম ও শাহ আলমের হামলায় তার পিতা আহত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এবিষয়ে লাখাই থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত)মহিউদ্দিন সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন নুর আলমের আঘাতে আব্দুল হাই আহত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।এব্যাপারে এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলেও জানান তিনি।