লাখাই প্রতিনিধি :
বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার।কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন ও কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।ফলশ্রুতিতে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। খাদ্য শস্য, ফলমূল, শাকসবজি উৎপাদনে প্রভূত উন্নতি হয়েছে।
লাখাই উপজেলা খাদ্যকনা উৎপাদনে একটি উদ্বৃত্তের উপজেলা।প্রতি বছর প্রায় ৩৬ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য উদ্বৃত থাকে।
খাদ্যের উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও মাত্রাতীত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে খাদ্যে এর প্রভাব পড়ছে। কৃষককূল অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ফসলে বালাইনাশক ব্যবহার করায় এর ক্ষতিকারক প্রভাবে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
ফসলে নির্বাচারে বালাইনাশক ব্যবহারে এর একটি অংশ খাদ্য শৃঙ্খল হয়ে মনুষ্য শরীরে প্রবেশ করায় হ্রদরোগ, যকৃতের রোগ,পাকস্থালী সহ বিভিন্ন অংগ আক্রান্ত হচ্ছে।সচেতনতার অভাবের কীটনাশক ব্যবহারের পর পরই জমি থেকে ফসল তুলে বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে।
এতে কীটনাশক ব্যবহার পরবর্তী নির্দিষ্ট সময়ের ফসল তুলার নিয়মটি উপেক্ষিত হয়।কৃষকের সচেতনতার অভাবে একশ্রেণীর কীটনাশক ব্যবসায়ী একসাথে একাধিক কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে থাকেন।বর্তমানে খাদ্যের ঘাটতি না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি পড়েছে ঝুঁকিতে।ভোক্তা সাধারন অনেকটা বাধ্য হয়েই তা গ্রহন করছে।
এদিকে কৃষি বিভাগ বালাইনাশক এর ব্যবহার পরিমিত পরিমানে ও বালাইনাশক ব্যবহার পরবর্তী বিধিবিধান সম্পর্কে সম্যক ধারনা দিতে ও কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে লাখাই উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়।এক্ষেত্রে রাসায়নিক বালাইনাশক এর পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে কৃষকদের সচেতন করতে পারলে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির পথ প্রসারিত হতে পারতো।
এ এব্যপারে কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সিলেট অন্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান,গম ও পাটবীজ উৎপাদন,সংরক্ষন ও বিতরন প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মোঃ ফরহাদ মিয়ার সাথে আলাপকালে জানান যথেচ্ছা বালাইনাশক ব্যবহার ও যথা নিয়মে ফসল জমি থেকে উত্তোলন না করলে বালাই নাশকের একটি অংশ মানবদেহে খাদ্য শৃঙ্খল ( food chain) এর মাধ্যমে প্রবেশ করে।এতে মানবদেহে নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধে।
হ্রদরোগ, কিডনি ডিজিজ, গ্যাস্ট্্রিক আলসার সহবিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।কৃষি সম্প্রসারন অধিদপতর এর অধীনে আমরা বিভিন্নভাবে কৃষককূল কে বালাইনাশক ব্যবহারে সচেতন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
রাসায়নিক এর পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। উৎপাদনে আমরা অনেক সফলতা অর্জন করলেও নিরাপদ খাদ্য এখন আমাদের বড় চেলেন্জ।
এব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান কীটনাশক ও সার এর অপপ্রয়োগ এর ফলে এর একটি অংশ মানবদেহে চলে আসে।দীর্ঘ দিন এভাবে চলতে থাকলে মানবদেহে নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।আমরা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সচেতন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।