হামিদুর রহমান,মাধবপুর থেকে-: হবিগঞ্জের মাধবপুরে কুমারী মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে আদালতের নির্দেশে ২৬ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে এক শিশুর । গত বুধবার সকালে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফের উপস্থিতিতে উপজেলার সম্পদপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে পুলিশ মাজহারুল ইসলাম নামে ৩৫ দিন বয়সের এ শিশুর লাশ উত্তোলন করেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৪ জুন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে হাছেনা বেগমের গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম নেয়। একই গ্রামের নজব আলীর ছেলে রেনু মিয়া (২৫) প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাছেনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে তিনি অন্তসত্ত্ব হয়ে গত ১৪ জুন এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সন্তনটি জন্ম নেওয়ার পর রেনু মিয়া এর দায়দায়িত্ব অস্বীকার করে সটকে পড়ে।

নবজাতক শিশুকে নিয়ে সমাজের মধ্যে বিপাকে পড়ে কুমারী মাতা হাছেনা বেগম। সমাজপতিরা উল্টো হাছেনাকে বিভিন্ন অপবাদ ও লাঞ্ছনা দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে হাছেনা বেগম সন্তানের পিতার পরিচয় ও স্বামীর অধিকার চেয়ে গত ২ জুন হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে হাছেনা বেগম বাদি হয়ে রেনু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী মামলা করলে আদালতের নির্দেশে গত ১২ জুলাই মাধবপুর থানায় মামলাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) নথিভূক্ত হয়।

গত ৬ আগস্ট মনতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই)জহিরুল ইসলাম এজাহারনামীয় ২ আসামি রেনু ও তার সহোদর মনছুর আলীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। গত ৫ আগস্ট বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ময়নাতদন্ত ও ডিএন্ এ পরীক্ষার জন্য কবর থেকে শিশুটির লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে ১২আগস্ট বুধবার হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফের উপস্থিতিতে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে শিশুটির লাশ উত্তোলন করা হয়। মাধবপুর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, শিশুর লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে।