সিলেট প্রতিনিধি::  টানা সাত বারের মতো পিছিয়ে গেছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠনের তারিখ। গ্রেফতারকৃত সকল আসামি উপস্থিত না থাকায় প্রতিবারই অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবারও একই কারণে অভিযোগ গঠন হয়নি। তবে মামলার নতুন তারিখও দেননি ট্রাইবুনালের বিচারক মকবুল হোসেন।

সিলেট দ্রুত বিচার আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানিয়েছেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ কয়েকজন আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার এই মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি।
কিশোর কুমার কর জানিয়েছেন, কিবরিয়া হত্যা মামলায় অতীতে বেশ কয়েকবার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু একই তারিখে অন্য মামলায় আসামিদের হাজিরা থাকায় তারা অনুপস্থিত থাকেন। একারণে, আজ তারিখ ঘোষণা হয়নি। ঢাকাসহ অন্য আদালতে আসামিদের হাজিরা আছে কি-না তা জেনে পরবর্তীতে তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামীর মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। একজন মারা গেছেন আর বাকি দু’জনের সঠিক নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয় হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গৌছ, মিজানুর রহমান মিন্টু, হাফেজ মো. নাঈম, বদরুল আলম মিজান ও রিপনকে।

তবে সচরাচরের মতো আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ হাজতি মোট ৯ জনকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে জামিনপ্রাপ্ত সকল আসামি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই এবং ৩, ১০ ও ১৮ আগস্ট আলোচিত এই হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সকল আসামী আদালতে হাজির করতে না পারায় চার্জ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়। আজও একই কারণে অভিযোগ গঠন হয়নি।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এবং বিস্ফোরক মামলাটি হবিগঞ্জের আদালতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।