ডেস্ক :সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-সংক্রান্ত মামলা পরিচালনায় বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। বিশেষ আদালতের নেতৃত্বে থাকবেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা। গত সপ্তাহে দেশটির পেশোয়ারে সামরিক বাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে পাকিস্তানি তালেবান জঙ্গিদের হামলার ঘটনার পর এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সে দেশের সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ইতিমধ্যে সন্ত্রাস দমনে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির ব্যাপারে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে সব দলের সদস্যরাই এ বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হন। বৈঠকের পর সামরিক আদালতের ব্যাপারে বিস্তারিত না জানালেও এ সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন বলে উল্লেখ করে নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন, এ জঘন্যতম কাজের জন্য সন্ত্রাসীদের মূল্য দিতে হবে।
বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নওয়াজ শরিফ বলেন, “অতীতে বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েও হামলাকারীরা শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে গেছে। ফলে এ ধরনের অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতেই সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিচালনায় বিশেষ এ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে।” রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চই এ ধরনের আর কোনো দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করার আগেই সত্যিকারভাবে জেগে উঠবো।”
এদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা সাইদ খুরশিদ শাহ বলেছেন, সামরিক আদালত দুই বছরের জন্য স্থাপন করা হতে পারে। তিনি বলেন, এই আদালতে কেবল সন্ত্রাসীদের বিচার করা হবে, রাজনৈতিক উদ্দেশে এই আদালত ব্যবহৃত হবে না। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান সদস্যরা পেশোয়ারে সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ১৫২ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে ১৩৩ জনই ছিল শিশু। এই ঘটনা শুধু পাকিস্তান নয়, পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দেয়।