মোঃ রহমত আলী ॥ সম্ভাবনার হবিগঞ্জ খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে স্বীকৃতির অপেক্ষায়। স্বাধীনতার পরথেকেই খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে হবিগঞ্জ প্রথম সারিতে অবস্থান করলেও আজও এ জেলা স্বিকৃতি পায়নি।
হবিগঞ্জ জেলায় খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বছরে ৩লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। ২৩ লক্ষাধিক মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশের ক্রমবর্ধমান বৃহৎ জনগোষ্টিকে অতিরিক্ত খাদ্য যোগন দেয়ার হচ্ছে হবিগঞ্জের কৃষি ভান্ডার থেকে। কিন্তু খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত হয়ার দীর্ঘ দিনেও হবিগঞ্জ আজও স্বীকৃতি পায়নি খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে ।
হবিগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাযায়, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের হিসাব অনুযায়ী জেলায় মৌসুমী খাদ্য শস্য আঁউশ, আমন, বোরো ও গম উৎপাদণ হয়েছে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭শ ১৫ মেট্রিক টন। স্থানীয় বাজারে খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ৩০ টাকা হিসাবে ধরে চালের ম্যল্য ২ হাজার ২শ ৬৬ কুটি ৫৪ লাখ ২ হাজার টাকা। সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় ২৩ লক্ষাধিক জনগোষ্টির খাদ্যের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ২শ ৫৯ মেট্রিক টক চাল। যার স্থানীয় বাজার মূল্য ১ হাজার ১শ ১০ কুটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তাছাড়া বীজ ও অনান্য ভাবে ব্যয় হচ্ছে বছরে ৮৭ হাজার ৩ শ ৮০ মেট্রিক টন চাল। এর বাজার মূল্য ২ শ ৬২ কুটি ১৪ লাখ টাকা। উৎপাদিত শস্যের সব বাদ দিয়ে জেলায় খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯শ ৩৮ মেট্রিক টন চাল। উদ্বৃত্ত খাদ্য শস্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্য ৮শ ৯০ কুটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গম উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ১শ ৩৮ মেট্রিক টন, বাজার মূল্য ২০ টাকা কেজি হিসেবে ২ কুটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কৃষি বিভাগ আরো জানায়, অতীতে স্থানীয় জাতের ধান আবাদ করতেন কৃষক এতে ফলন বেশি হতো না । তথ্য প্রযুক্তির আদলে উচ্চ ফলন শীল (উফশী) জাতের ধান উদ্ভাবন হয়ায় উন্নত জাতের ধান বেশি আবাদ করছে কৃষক ফলে জেলায় খাদ্য শস্যের ফলন বুদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ বাড়ালে হবিগঞ্জে খাদ্য শস্য আরো বেশি উদ্বৃত্ত হয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে জেলার উদ্বৃত্ত ৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য যোগ হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যভাব অঞ্চলে। খাদ্যের উদ্বৃত্ত বাড়লেও সরকারী ভাবে বাড়ানো হচ্ছে না খাদ্য মজৌাদ রখার গোলা। দেশের ৬৮টি জেলার মধ্যে শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে হাওর-বাওর বেষ্টিত প্রধান কৃষি উর্বরশীল জেলা হিসেবে হবিগঞ্জ অন্যতম।
প্রাগঐতিহাসিক কাল থেকে জেলার ৮০শতাংশ জনগোষ্টি কৃষি কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছে। কৃষি খাতে ব্যয় বাড়িয়ে হবিগঞ্জের কৃষিকে আরো গতিশীলতার দাবী জানান চাষীরা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সূত্র জানায়, উদ্বৃত্ত শস্যের অনুপাতে জেলা সরকারী ভাবে ব্যাপক আকৃতির কোন গুদাম নেই। মাত্র সাড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সরকারী গোলা মৌজুদের রাখার ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।