দৈনিক শায়েস্তাগঞ্জ ডেস্ক : সিলেট থেকে একের পর এক ট্রেনের বগি খুলে নেওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন সিলেটের ট্রেন যাত্রীরা। একটি-দুটি নয়, এ পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়েছে পুরো ১৩টি বগি। রেলওয়ের বরাদ্দ অনুযায়ী সিলেটে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনে ৭৫টি বগি থাকার কথা। কিন্তু সেখানে ১৩টি বগি কম থাকায় বর্তমানে টিকেট-সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এদিকে একের পর এক বগি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে হবিগঞ্জবাসীর উপর। শায়েস্তাগঞ্জ জংশনেও টিকেট সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
জানা যায়, সিলেট-ঢাকা রুটে ৪টি এবং সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ২টি মিলে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেনের মধ্যে কালনী-১০টি, জয়ন্তিকা-১৩টি, উদয়ন-১৩টি, পারাবত-১৩টি, উপবন-১৩টি ও পাহাড়িকা-১৩টি বগি নিয়ে সিলেট রুটে যাত্রা শুরু করে। মোট ৭৫টি বগি নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করলেও বর্তমানে রয়েছে ৬২টি বগি।
রেলওয়ের বর্তমান ট্রেন কম্পোজিশন বরাদ্দ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সিলেট রুট থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে ১৩টি বগি। যা একটি ট্রেনের সমান। অর্থাৎ একটি ট্রেন সিলেট রুটে কম চলাচল করছে। কেটে নেওয়া বগির মধ্যে রয়েছে-কালনী-৫টি, জয়ন্তিকা-৩টি, উদয়ন-২টি, পারাবত-১টি, উপবন-১টি ও পাহাড়িকার ১টি বগি। সর্বশেষ গত ২৪ নভেম্বর সিলেট থেকে উদয়নের ১ম শ্রেণির একটি বগি খুলে নেওয়া হয়। সিলেটে বগি সংকটের চিত্র বার বার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং সংকট আরো ঘনীভূত করা হচ্ছে। রেলের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, রেলওয়ের নিয়ম মোতাবেক একটি ট্রেন সর্বোচ্চ ২৭টি বগি দিয়ে চলাচলের বিধান রয়েছে। কিন্তু সিলেটে সর্বোচ্চ ১৩টি বগি নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করে।