মাধবপুর প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় বিয়ের আট মাসের মাথায় যৌতুকের জন্য জীবন দিতে হলে গৃহবধু হেলেনা আক্তার (১৯) নাকি সে আত্মহত্যা করেছে এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। তবে হেলেনার পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করে দায় এড়াতে লাশ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্বামি আবুল বাশার কে বিজয়নগর পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। মাধবপুর থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে স্বামির বাড়ি থেকে গৃহবধুর হেলেনার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
প্রায় ৮ মাস পূর্বে বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে হেলেনা আক্তার এর সঙ্গে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে আবুল বাশারের বিয়ে হয়। নিহতের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণা যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়। এরপরও পাষন্ড স্বামি ,শ্বাশুড়ি ও বোন বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা ও স্বর্ণ এনে দেওয়ার জন্য প্রায়ই হেলেনা কে শাররীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করত। শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের নির্যাতনের হাত থেকে বোন কে বাচাতে গত এক মাসে আগে ১ ভরি স্বর্ণা দেওয়া হয়।
কিন্তু তারপরও নির্যাতন থেমে থাকেনি।শুক্রবার তাদের আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পান তার বোন কে হত্যা করে ঘরে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর কিছুক্ষন পরেই বোনের স্বামি আবুল বাশার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী হেলেনা ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করে।
এদিকে খবর পেয়ে মাধবপুর থনাার উপ- পরিদর্শক(এসআই) মুমিনুল ইসলাম ও কাশিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ(এসআই) মোসলে উদ্দিন ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।