নিজস্ব প্রতিনিধী:- হবিগঞ্জ জেলার ভূয়া নাগরিক সেঁজে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি নিলেন কয়েকজন। ২০১৪ ঈসায়ী ৪ঠা জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
যেখানে অন্যান্য বিজ্ঞপ্তির মতোই বিভিন্ন কোটার খাতে নিয়োগ শর্তাবলীর ১১ নাম্বারে প্রার্থী নিবাচনে সরকার কর্তৃক জেলা কোটা অনুসরণ করা হবে বলে উল্লেখ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় নিলফামারী জেলা সদর উপজেলার পশ্চিম কুচিয়া মোড় গ্রামের মহসিন আলীর স্ত্রী নাছমিন আক্তারের মত ভূয়া নাগরিকত্ব নিয়ে চাকুরি করছেন মো: আবুল কালাম আজাদ, মোশারফ হোসেন সহ আরও অনেকে।
তারা লুকিয়ে জেলা কোটায় আবেদন করে। সেখানে তারা নিজেদেরকে হবিগঞ্জ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা বলে ভূয়া সনদ গ্রহণ করে আবেদন করে। যার বদৌলতে ওই ব্যাক্তি গণ পরীক্ষায় অংশ নেন। ফলে তারা জেলা কোটায় চাকুরী পান। এর পর থেকেই নাছমিন আক্তার মৌলভী বাজার উপজেলার রাজনগর, আবুল কালাম আজাদ সুনামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, মোশারফ হোসেন সুনামগঞ্জ উপজেলার তাহিরপুরে চাকুরী করে আসছেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। বিশেষ করে ওই ভূয়া নাগরিকের চেয়ে অনেক বেকার মেধাবী স্থানীয় বাসিন্দারা চাকুরী লাভে বঞ্চিত হয়েছেন।
এক পর্যায়ে বিষয়টি উক্ত জেলার ডিপ্লোমা কৃষিবিদের মাঝে পৌছে। পরে চাকুরী বঞ্চিত ডিপ্লোমা কৃষিবিদেরা গোপনে তাহাদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে। তখনই বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। এরই মধ্যে চাকিরি বঞ্চিত প্রার্থীদের পক্ষে হবিগঞ্জ দুদকের উপ-পরিচালকের বরাবরে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া ভুয়া ঠিকান ব্যবহারকারি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ দায়ের করেন শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাহমুদুর রহমান মামুন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল আউয়াল তালুকদার ও অন্য দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জবাবে বলেন উল্লেখিত ব্যাক্তি গণ হবিগঞ্জের প্রকৃত নাগরীক না হয়ে আমাদেরকে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে ইউনিয়ন অফিস থেকে নাগরিক সনদ গ্রহন করেছেন।
এছাড়া উল্লেখিত ব্যাক্তি গণের চাকুরি পাবার পর প্রকৃত ঠিকানা জানার দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি গণের উপর। কিন্তু তদন্তকারীরা সঠিক তদন্ত না করে অন্যায় ভাবে বশীভূত হইয়া তারা হবিগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা নয় তাহা জানা সত্বেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। এমনটাই দাবী অভিযোগ কারীর। তাই ভূয়া ঠিকানা ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছন অভিযোগকারী।