এম এ আই সজিব ॥ বানিয়াচং উপজেলার ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদে গত ৪ঠা জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট ও ফলাফলে কারচুপির অভিযোগে দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত রেখে ১৫ দিনের মধ্যে ৬টি কেন্দ্রের ভোট পুণঃগণনার জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ১৪ জুন হাইকোর্টের (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী ও মোঃ খসরুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে এ রায় প্রদান করা হয়। গত ৭ জুন ভোট পুণঃগণনার মাধ্যমে সঠিক ফলাফল ঘোষণার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটরসাইকেল মার্কা) মোঃ আনোয়ার হোসেন হাইকোর্ট বিভাগে এ রিট আবেদন করেন। রীট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বানিয়াচং উপজেলার ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নে মোঃ আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিসঢ়;দ্ব প্রার্থীর সঙ্গে অন্যায় ও যোগাযোগী মূলে অবৈধ সুবিধা গ্রহণপূর্বক তার অনেক বৈধ ভোটকে অবৈধ (বাতিল) দেখিয়ে মাত্র ১০ ভোটে তাকে পরাজিত করা হয় মোঃ আনোয়ার হোসেনকে। এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকটও অভিযোগ দেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রগুলোতে মোঃ আনোয়ার হোসেনের মনোনীত এজেন্টদের কাছ থেকে সাদা কাগজে ফলাফল বিবরণীতে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত কেন্দ্র সমূহে প্রিজাইডিং অফিসার ভোট কেন্দ্রে কোন ফলাফল বিবরণী প্রদান না করে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ থেকে রাত ১০টায় প্রদান করেন। এদিকে ভোট কেন্দ্র নং৩৫ শরীফখানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল বিবরণীতে কোন এজেন্টদের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। তার প্রতিদ্বন্ধিসঢ়;দ্ব প্রার্থী ও অভিযোগে বর্ণিত কেন্দ্র সমূহের নির্বাচনী কর্মকর্তার এহেন যোগাযোগ ও অনৈতিক কাজের মাধ্যমে তাকে ১০ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট যাত্রাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নং ২৮,শরীফ উদ্দিন ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মক্তব) কেন্দ্র ২৯, তারাসই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ৩১, এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ৩৪,শরীফখানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ৩৫ ও সামছু মিয়ার বৈঠকখানা কেন্দ্র ৩৬ এর ভোট পুণঃ গণনার নির্দেশ দেন।