মোঃ রহমত আলী, হবিঞ্জ থেকে ॥ শব্দ দূষণ রাষ্ট্রীয় আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। এ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে দেশের সর্বত্র মাইক ও ডিসকো জকি (ডিজে) স্পীকার বাজিয়ে দালান কোটা কাপিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় ও হার্টের রোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে আনন্দ উল্লাস করাই যেন সামাজিক রীতি হয়ে যাচ্ছে।
সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী নাছারাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ঘণবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের ধর্মীয় ভাবমূর্তি ও সংস্কৃতির প্রতি বিতশ্রদ্ধ করা তোলা হচ্ছে মাইক ও ডিসকো জকি’র স্পীকারের বিকট আওয়াজে। ফলে শিক্ষা যেমন ব্যহত হচ্ছে তেমনি হার্টের রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এ যেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নষ্ট করা ও হার্টের রোগী বাড়ানোর প্রতিযোগিতা।
ধর্মীয় বিধান রয়েছে ধর্মগ্রন্থ তেলাওয়াতকালে শব্দের আওয়াজে কারো অসুবিধা হলে নিরবে পাঠ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না।
একদিকে অতিমাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শব্দপ্রতিবন্ধি দ্রুত বাড়ছে, অন্যদিকে মাইক ও স্পীকারের বিকট আওয়াজও ওই সব বদিরদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
হবিগঞ্জ পৌর এলাকা ও শহরতলী ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, ও পারিবারিক অনুষ্ঠানস্থলে মাইক ও ডিসকো জকির (ডিজে) বুক কাপানো আওয়াজের প্রতিযোগিতা। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া রাত বিরাত চলছে এ সব জলছা, ওরস ও সামাজিক অনুষ্ঠান। গ্রাম গ্রামাঞ্চল থেকে মানুষ শহরমূখী হচ্ছেন, শান্তিপূর্ণ নিরিবিলি পরিবেশে বসবাস ও ছেলে মেয়েদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিতর করার বাসনায়। কিন্তু এখানে মাইক ও স্পীকারের যত্রতত্র অপব্যবহারের ফলে অতিষ্ট হয়ে উঠছে নাগরিক সমাজ।
একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সিটিজেন আক্ষেপ করে বলেন, এখন আর ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও আচার অনুষ্ঠান পালনে নিরবতার পরিবেশ নেই। শব্দদূষণ সৃষ্টি করে প্রতিবন্ধকতা করা হচ্ছে।