আজিজুল হক নাসিরঃ দেশিয় আম উৎপাদনে হবিগন্জ জেলার অন্যতম চুনারুঘাট উপজেলা। পাহাড়ী-বনাঞ্চল ও উঁচু-সমতল ভূমি বেষ্টিত এ উপজেলায় বাগ-বাগিচা ছাড়াও প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আম গাছ যেন অপরিহার্য ভাবে দেখা যায়। এদের মধ্যে দেশিয় প্রজাতিই বেশি।
বৈশাখের ২য় সপ্তাহ থেকে টানা জৈষ্ঠের মাঝামাঝি পর্যন্ত ঘরে ঘরে কাঁচা-পাকা আম খাওয়ার ধুম পড়ে। কাল বৈশাখী ঝড়ে ঝরে পড়া কাঁচা আমকে গায়ের মহিলারা কেটে রোদে শুকিয়ে তরকারির জন্য আমসি তৈরী ও তেল মসলা মিশিয়ে আচার বানিয়ে বুয়ম ভরে রাখেন। আচার এবং আমসি দুটোই বছর ভর খাওয়া যায়। পাকা আম গুলো নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে খাওয়ার পরও অনেকেই বাজারেও বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করেন।
কিন্তু, প্রতি বছর এর উৎপাদন সমান তালে হয় না। যার প্রধান কারণ, অধিকাংশ গাছেই এক বছর বিরতিতে বোল আসে। যা থেকে এলাকার মুরুব্বিয়ানদের ধারণা হয়ে গেছে দেশি আম গুলোর দু বছর পর পর’ই ধরে। যদিও যথেষ্ট গাছ থাকায় এর অভাব খুব একটা অনুভূত হত না।
চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সত্তর ভাগ গাছেই আমের বোল আসেনি। যেখানে বর্তমান সময়ে গাছে গাছে কচি আম দোলার কথা সেখানে কচি পাতায় গাছ গুলোকে রঙিন করে রেখেছে।
আবার অকালের ঝড়-বৃষ্টিতে আমে পরিণত হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে বোল গুলো। এ বছর পরিবারের আমের চাহিদা কিভাবে মিটাবেন এই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন গৃহস্থরা।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, সঠিক পরিচর্যার অভাবেই দেশিয় প্রজাতির আম গাছ গুলোতে এক বছর বিরতিতে বোল আসে।
নিয়ম মত সার,পানি ও ঔষুধ প্রয়োগ করলে প্রতি বছরই তুলনা মূলক বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব।