চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে বন্দুক দিয়ে প্রাণে হত্যার করার চেষ্টা ও কিশোর মামুন মিয়া হত্যার সাথে জড়িত সন্ধেয় একাধিক মামলার আসামী সুনাই মিয়া আটক করে কেউন্দা গ্রামবাসীরা।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় সময় পৌর শহরের নতুন বাজারে থেকে গ্রামবাসীরা আটক করে থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। সে উপজেলার কেউন্দা গ্রামের মৃত আঃ হাসেমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেউন্দা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার সাথে একই গ্রামের বশির মাষ্টার ও তার ভাই ছগীর মিয়ার সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলচিল। এর নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে একাধিক মারামারি সংঘটিত ও মামলা রয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে বশির মাস্টার, ছগির মিয়ার পক্ষে সুনাই মিয়া, মুখলিছ, জুনেল ও এখলাছ এবং বাচ্চু মিয়া পক্ষে সবুজ মিয়া, ফজুল, মনসুরের সাথে বর্গাকার জমিজমা নিয়ে ঝড়রা বিবাধ চলে। এরই জের ধরে গত ১৪ জুলাই ছগির মিয়া ও সুনাই মিয়া প্রতিপক্ষ সবুজ মিয়ার উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামবাসী ও পুলিশ এগিয়ে আসলে সবুজ প্রাণে রক্ষা পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, গুলিসহ ছগির মিয়াকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে।
পরে এ ব্যাপারে সবুজ মিয়া বাদী হয়ে ছগির মিয়া ও সুনাই মিয়াকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৮/১৪-৭-১৭ইং। ওই মামলায় ছগির মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ প্রায় ২সাম জেল হাজতে কেটে জামিনে আসেন।
এদিকে সুনাই মিয়া গ্রেফতারের পরে কেউন্দা গ্রামে জানাজানি হলে এলাকার শত শত মানুষ থানায় ভীড় জমায়। গ্রামবাসীরা জানায় কেউন্দা গ্রামের কিশোর মামুন মিয়ার হত্যা কান্ডের সাথে সুনাই মিয়া জড়িত।
এ ব্যাপারে থানায় আগত কেউন্দা গ্রামের আরশব, মুক্তার মিয়া, বাবুল, আলতা, আরব আলী, জাহাঙ্গীর সহ আরোও অনেকই জানায় সুনাই মিয়া মামুন হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত হত্যা কান্ডে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম জানান-আটকের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাবার সময় কেউন্দা গ্রামের বাসিন্দারা সুনাই মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সে বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলার ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা রয়েছে। তদন্ত করে অন্য কোন মামলার সাথে জড়িত রয়েছে কি না তা বের করা হবে।