মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খড়কি গ্রামের সাহেদা খুনের ঘটনায় হারুন মিয়া (৩০) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
রোববার সকালে পুলিশ খড়কি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের আহাদ মিয়া ছেলে।
এ ঘটনায় সাহেদার ভাই আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে শনিবার রাতে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সাহেদা খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে হারুন কে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার বিকেলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়েছে। সাহেদার ভাই আব্দুল মান্নান অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ২৫ জানুয়ারী সাহেদা তার প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলা কে নিয়ে পাশ্ববর্তী নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা দরবার শরীফের ওরসে যান।
২৬ জানুয়ারী সকালে সাহেদার সঙ্গীরা ফিরে এলেও সাহেদা ফিরে আসেনি। সাহেদার ভাই আব্দুল মান্নান ওরস থেকে ফিরে আসা মহিলাদের সাহেদার খোজ খবর জানতে চাইলে তারা জানান ২৫ জানুয়ারী মধ্যে রাতে হারুন সাহেদা কে ফোন করে ওরসের কাফেলা থেকে বের করে নেয়। এরপর থেকে সাহেদার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়নি।
পরদিন ২৬ জানুয়ারী খড়কি ও ছাতিয়াইনের মধ্যেবর্তী স্থানে বগজান নদীতে সাহেদার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে তার ভাই এটি সাহেদার লাশ হিসাবে শনাক্ত করে।
এর দেড় মাস আগে একই গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে আহাম্মদ এর সঙ্গে গোপনে সাহেদার হবিগঞ্জ কাজী অফিসে বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক বাবদ সাহেদা আহাম্মদ কে ২৯ হাজার ৬ শ টাকা দেয়।বিয়ের পর থেকে আহাম্মদ ও সাহেদার মধ্যে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। সাহেদা কে বাড়িতে রেখে আহাম্মদ ঢাকায় বসবাস করত। মা বাবা মরে যাবার পর সাহেদা কৃষি জমিতে শ্রমিকের কাজ করত।
এসআই আবুল কাশেম জানান, গ্রেফতার হারুন মিয়ার কাছ থেকে হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য হবিগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়েছে । তদন্তের স্বার্থে এখন সব বলা যাচ্ছে না।