চুনারুঘাট প্রতিনিধি : দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দিন মজুরী ছেড়ে গাজা ব্যবসায় জড়িয়ে রীতিমত বড়লোক বনে যায় চুনারুঘাট উপজেলার (কড়ইটিলা) সুন্দরপুর গ্রামের মৃতঃ হায়দর আলীর পুত্র হাছন আলী। জমি-জমি খরিদ সহ তৈরী করে বিলাশ বহুল বাড়ী-ঘর।হাছন আলীর দেখাদেখি তার পাড়ার আরো অনেকেই শুরু করে একই ব্যবসা। ধীরে ধীরে এলাকা ছেয়ে যায় গাজায়।
দিন মজুর হাছন আলী পরিচিত হয়ে যায় গাঞ্জা চাচা হাছন আলী হিসাবে। প্রশাসনের সকল বাহিনীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকলেও কেহই হাতে নাতে ধরতে পারেনি সুকৌশলী হাছন আলীকে।
জনমনে প্রশ্ন জাগে তবে কি আইনের হাতে ধরা পড়বে না যুব-সমাজ ধংসকারী এই মাদক সম্রাট?
অবশেষে জনগনের সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আশরাফুল আলম। ২৭ মে রবিবার সকাল ৭ঃ৪৫ মিনিটে গাজা সহ আটক করলেন এই গাঞ্জা চাচা (৬৫) কে। পাঠালেন কারাগারে। জনমনে স্বস্তি ফিরলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই চুনারুঘাট থানাকে ধন্যবাদ জানালেন। এর ধারাবাহীকতা অব্যাহত রেখে এলাকার চিহ্নিত অন্যান্য মাদক চোরাকারবারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।
হাছন আলীকে গ্রেফতারের ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে,এম আজমিরুজ্জামান জানান, হাছন আলী খুব কৌশলী একজন ব্যবসায়ী। সে সরাসরি নিজে কিছু না করে এলাকার দরীদ্র -হতদরীদ্রদের ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করতো। যেকারণে তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে সময় লেগেছে। তবে, তাঁর বর্তমান ফোর্স চৌকস হওয়ায় সহজেই তাকে গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। যখনি গোপন সংবাদ এসেছে হাছন আলী গাজা নিয়ে নিজে বের হয়েছে তখনি ওসি (তদন্ত) একদল পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছেন।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল এস,এম রাজু আহমেদ বলেন, শুধু মাদক সম্রাট হাছন আলী নয় তাঁর সব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধ পরিকর। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে পাচারকালে উপজেলার কড়ইটিলা থেকে মাদক সম্রাট হাছন আলী ওরফে গাঞ্জা চাচা হাছন আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ২০ কেজি গাজা উদ্ধারের মামলা রয়েছে।