মোঃ রহমত আলী ॥ খোয়াই বেরী বাঁধ ও সেতু রক্ষার দাবীতে এবং ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিবাদের আন্দোলন জোরদার করার লক্ষে এক সমন্বয় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
জনমত সৃষ্টিতে আঞ্চলিক কমিটি গঠন, ব্যানার, পেস্টুন স্থাপন ও লিফলেট বিতরন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় উক্ত সভায়। এবং সেই সাথে পূর্ব ঘোষিত ২৯ জুলাই মহা সমাবেশ কমসূচী সাময়ীকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
রোববার সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক এর সভাকক্ষে উক্ত সভা অনুষ্টিত হয়। সৈয়দ আহমদুল হক এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হক আউয়াল, পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, গোপায়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী মিজবাহুল বারী লিটন, তেঘরিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী, বিশিষ্ট মুরব্বী হাফেজ মোঃ আব্দুর রহমান, বিশিষ্ট মুরব্বী মোঃ শামীম আহমেদ, মোঃ আম্বর আলী, সাবেক মেম্বার মোঃ আনছব আলী, মোঃ আবু তাহের , ভাদৈ গ্রামের সিরাজ চৌধুরী, মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ শাহ আলম মিয়া সর্দার, মোঃ রমিজ আলী প্রমূখ। আঞ্চলিক কমিটি গঠন কার্যক্রম অব্যায়ত থাকায় ২৯ জুলাই মহা সমাবেশের কমসূচী সাময়ীক স্থগিত রাখা হয়। জন ঐক্যমত গড়ে তোলতে স্থানে স্থানে ব্যনার, পেস্টুন স্থাপন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। তাছাড়া হবিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক কে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সমন্বয় সভায়।
উল্লেখ্য যে, জনগণের দাবীগুলো হলো; খোয়াই নদীর বাঁধ ও সেতু রক্ষা করতে হলে নদী অভ্যন্তরে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ঝোঁপঝাড় অপসারন করা, বেরি বাঁধে স্থাপিত গাছপালা অপসারণ করা, অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধ করা, নতুন ভাবে বালু উত্তোলনে ইজারা না দেয়া, নদী পুণঃ খনন করা ও মশাজান ব্রীজ থেকে মাছুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত বেরি বাঁধ প্রশস্থ করে যান চলাচলের সুযোগ করা ।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ গভীর হয়ায় বিভিন্ন স্থানে বেরী বাঁধ ধ্বসে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া হুমখির মুখে পড়েছে নদীর উপর নির্মিত খোয়াই সেতুগুলো। ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী লোকজন । হবিগঞ্জ শহর, নদীর বাঁধ, সেতু ও তীরবর্তী জনপদ রক্ষায় শিঘ্রই অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে প্রশাসনের নিকট দাবী তোলেন জনগণ।