সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক : সারাদেশে করোনা ভাইরাসের কারণে হিমশিম খাচ্ছে ক্ষুদ্র আয়ের মানুষগুলো।দেশের বেশিরভাগ মানুষ কোননা কোন ক্ষুদ্র ঋণসংস্থাগুলোর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জে যেখানে অন্যান্য সংস্থাগুলো ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির জন্য গ্রাহককে চাপ প্রয়োগ করছে, সেখানে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী কাজ করে আলোচনায় রয়েছে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস হানা দেয়, ব্র্যাক করোনা ভাইরাস শুরুকালীন থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের অফিস খোলা রেখে তাদের মাঠকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে।
ব্র্যাকের অফিস সুত্রে জানা যায়,৯ই মে থেকে ১১ই জুন পর্যন্ত সাধারণ জনগোষ্ঠির আর্থিক সুবিধা বিবেচনা করে কৃষিখাতে, মুদিমাল ব্যবসায়ী ও ফার্মেসী ব্যবসার উপর সীমীত আকারে ঋণ বিতরণ ও অব্যাহত রেখেছেন তারা।আধো অবধি সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে ব্র্যাকের কোন কর্মী মাঠে গিয়ে টাকা কালেকশন না করে অদ্যাবধি মহামারী করোনা ভাইরাসের সচেতনামূলক কার্যক্রম সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচার করেছে।
এছাড়াও শায়েস্তাগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে ব্র্যাক মাইকিং করিয়ে সচেতন করার চেষ্ঠা করে চলেছে। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি তারা প্রচার করে চলেছে। সরকারের সাথে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য ব্র্যাককে স্ব্যাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করেছে।
সুতাং বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো: মঈনুদ্দিন ভুইয়া (দাবি) দারিদ্র বিমোচন জানান, চেষ্টা করছি এই সংকটে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর। আমরা সুতাং অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্টি তথা ৮৭জন বিধবা নারীর হাতে ১৫০০ টাকা করে অনুদান প্রদান করেছি, এছাড়াও আমরা বেশ কিছুসংখ্যক সাবান ও পাউডার বিতরণ করেছি।
শায়েস্তাগঞ্জ শাখার এরিয়া ম্যানেজার মো: এয়ারুল হক জানান, আমরা মাঠ পর্যায়ে এখনো কোন কিস্তি না তুলে মহামারী ভাইরাস মোকাবেলায় প্রান্তিক জনগোষ্টির পাশে হাত বাড়ানোর প্রয়াস করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষে একা এই ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব নয়, তাই সকলকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।