সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক : শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পা হারিয়ে ঢাকা শেখ হাসিনা র্বান ও প্লাষ্টিক র্সাজারী ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে স্কুলছাত্রী নদী আক্তার (১০)। উন্নত চিকিৎসার অভাবে দিন দিন অবনতি হচ্ছে তার শারীরীক অবস্থা। যে কোন সময় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে এমন শঙ্কায় রয়েছেন তার অভিবাবকরা। আর্থিক সংকটে কোনরকম নামকাওয়াস্তে চলছে তার চিকিৎসা সেবা।
অন্যদিকে জায়গা জমি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এখন দিশেহারা তার বাবা রফিক মিয়া। র্বতমানে ওই স্কুল ছাত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান তনি। মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঘুরছেন আত্মীয় সজনের কাছে। কুন সুউত্তর না পেয়ে রফিক মিয়ার দিনরাত কাটছে বিষন্নতা আর হতাশায়।
গত ১৫ মে সন্ধ্যায় শায়স্তোগঞ্জ ইসলামীয়া একাডেমীর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের রফিক মিয়ার কন্যা নদী আক্তার র্পাশ্বর্বতী স্থানীয় আল মদিনা আবাসিক হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী মর্জিনা খাতুন এর বাসায় বেড়াতে যায়। এ সময় সে বিদ্যুৎ এর মেইন লাইন থেকে টানা অবৈধভাবে ওই বাসার ছাদে ফেলে রাখা তারের সাথে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগিঞ্জ সদর হাসপাতালে র্ভতি করলে র্কতব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৭মে ঢাকা শেখ হাসিনা র্বাণ ও প্লাষ্টিক র্সাজারী ইনস্টিটিউটে র্ভতি করা হয়। পড়ে ৪ জুন তার দুটি পা কেটে ফেলা হয়। র্দীঘদিন তার চিকিৎসার আর্থিক জোগান দিয়ে র্বতমানে অসহায়ত্ব বোধ করছেন তার বাবা রফিক মিয়া।
জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনরে কাছ থেকে ধার-র্কজ করে তার চিকিৎসার প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি এখন দিশেহারা। দরিদ্র বাবার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়-ভার আর বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। উন্নত চিকিৎসার অভাবে নদী এখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এস এইচ ডি/দৈনিক শায়েস্তাগঞ্জ ডটকম /এস এইচ