কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক :
রাত পোহালেই হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের শুন্য আসনে (শায়েস্তাগঞ্জ) উপ-নির্বাচন।
নির্বাচনের বাকী রয়েছে আর মাত্র ১ দিন।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলবে।
১৮ অক্টোবর রাত ১২ টায় আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা বন্ধ হলেও প্রার্থীরা বসে নেই। কৌশলে শেষ মুহুর্তে প্রার্থীরা প্রচারনা করে যাচ্ছেন। সাধারন জনগনের ভোট না হলেও প্রচারনায় কমতি নেই। সাধারন জনগনও বেশ উপভোগ করছেন জমজমাট প্রচারনা। তারা ভোট না দিতে পারলেও প্রার্থীদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা করছেন।
উপ -নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করবেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর পরিষদ, শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ, ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদ, উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ ও মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।
যেসব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের ভোট রয়েছে এইসব ইউনিয়ন পরিষদে ছেয়ে গেছে পোস্টারে।
আবার, একইসাথে প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
৪ জন প্রার্থী হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের ১০ নং ওয়ার্ড(শায়েস্তাগঞ্জ) উপ – নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
প্রার্থীরা হলেন আব্দুল্লাহ সরদার(হাতি),জালাল উদ্দিন রুমি (তালা),আব্দুল ওয়াহেদ (টিউবওয়েল) আব্দুল মালেক মাদানী(সিএনজি) ।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ৮১ জন (জনপ্রতিনিধি) ভােটার তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করে নতুন সদস্য নির্বাচন করবেন ।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের ১০ নং ওয়ার্ডের (শায়েস্তাগঞ্জ) উপ – নির্বাচনে কিছুটা ভিন্ন আমেজে প্রচার প্রচারণা চলছে।
অন্যান্য নির্বাচনের মত মিছিল, কিংবা দলবেঁধে জনসংযোগ করতে দেখা যায়না।
প্রার্থীরা দিনরাত নিরবে করে যাচ্ছেন সভা – সমাবেশ ।
তবে কিছুটা কৌশলে প্রার্থীরা ভােট তাদের পক্ষে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
যদিও জনসাধারন ভোট দিতে পারবেন তারপরও নিজেদের পচন্দের প্রার্থীদের পক্ষে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভোট চাচ্ছেন ।
যার যার অবস্থান থেকে তুলে ধরছেন প্রার্থীদের গুণের কথা ।
এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম আব্দুল্লাহ সরদারের সাথে যিনি হাতি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি জানান, কোনরকম মিটিং মিছিল ছাড়াই তিনি ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে নিজের ভিতরে লালন করি । নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি, এবং ভোটাররা আমাকে আশস্ত করেছেন আমি জয়ী হবো।
আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন রুমী জানান তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা কোন মিটিং,মিছিল করতেছি না,আমরা সকল ভোটারদের কাছে দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে ভোট চাচ্ছি। আশা করি আমি নির্বাচিত হব।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন জেলা পরিষদের উপ- নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কোন রকমের অনিয়ম করার সুযোগ নেই। শান্তিপূর্ন ভাবে ভোটারা তাদের ভোটারধিকার প্রয়োগ করবেন।