প্রতিনিধি শায়েস্তাগঞ্জ : শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে রেলওয়ে ক্রসিং এর আশে পাশে সৌন্দর্যের জন্য বেশ কিছু কলা গাছ, পেপে ও সিম গাছ বপন করেছিলেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। রেলের জায়গায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রয়োজনে যেকোন সময় তাদের জায়গায় যেকোন প্রয়োজনীয় উদ্দোগ নিতে পারে। রেললাইনের পাশেই প্রায় একশত কলা গাছ, ১৬ টি পেপে গাছ ও কিছু সিম গাছ লাগিয়েছিলেন সুরাবইয়ের বাসিন্দা ফুরুক মিয়া।
গত মাস দেড়েক আগে যখন কলা গাছ গুলোতে কলার তোড় আসে তখনই শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের উর্ধতন প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এসে দাবি করেন তার স্ত্রী ও ছেলে আসবে মাস খানেক পরে, তারা আসলে যেন কলা পাকলে যেন তাকে দিয়ে দেয়া হয়, তারা এ ব্যাপারে সম্মতি ও দেন। অনেক গুলা কলা পরিপক্ক হয়ে গেছে এরইমধ্যে। কয়েকদিন আগে রাতের বেলা কে যেন একটি কলার চই চুরি করে নিয়ে যায়।
আজ ২০ অক্টোবর সকালে সাইফুল ইসলাম এসে ঐ কলার চই না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন রেললাইনের গেটম্যানদের উপর। তাদেরকে রেখে কলা কিভাবে চুরি হল, তিনি তাদেরকে বদলি করার হুমকি দেন। পরে এক পর্যায়ে তার সাথের দুই কর্মচারীকে নিয়ে প্রায় ১০০ কলা গাছ, ১৬ টি ফলজ পেপে গাছ ও সিম গাছ দা দিয়ে কেটে সাবাড় করে দেন। এ ব্যাপারে গাছগুলো যিনি লাগিয়েছিলেন ফুরুক মিয়াসহ অনেকেই আকুতি মিনতি করে ও উনাকে আটকাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো, মুখলিছ মিয়া বলেন, রেলের পাশে গাছগুলো সৌন্দর্য রক্ষা করে। এভাবে দা চালিয়ে ফলজ গাছগুলো যেভাবে কাটা হয়েছে তা অত্যন্ত দুখঃজনক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জ শাখার উর্ধতন উপ প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম (পথ) জানান, কেউ ফলজ গাছ চাষ করতে চাইলে নিজের জায়গাতে করবে, রেলের জায়গায় কেন গাছ লাগাবে।
রেললাইনের গেটম্যানরা অনেক প্রভাবশালী তারা গাছ কাটার জন্য বললে ও গাছ কাটেনা, এতে করে রেললাইনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই গাছগুলো কেটেছি। আর আমি কলা খেতে চেয়েছিলাম কথাটি মিথ্যা, আমি কি কলা কিনে খেতে পারব না নাকি। এই অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।