নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পশু হাসপাতালের ভবন নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে’র পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আম্বিয়া খাতুন, নূরপুর ইউনিয়নের মেম্বার কামরুন্নাহার, কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান আল রিয়াদ ও মোঃ মামুন চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, ১৯০৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার তালুগড়াই এলাকায় ২৮ শতক সরকারী জমির উপর পশু হাসপাতালটি স্থাপিত হয়। এখানে ভবন না থাকায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে উপজেলা হওয়ায় ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডা. রমাপদ দে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার যোগদানে স্থানীয় গবাদিপশু পালনকারীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ দেখা দেয়। কারণ এখন আর পশুর চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জে যেতে হচ্ছে না। শায়েস্তাগঞ্জেই পশু চিকিৎসা হচ্ছে।
প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, স্থানে স্থানে গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলতে প্রাণিসম্পদ বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে দূর হবে বেকার সমস্যা। শুধু তাই নয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করতে হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, পশু হাসপাতালের নিজস্ব জমি আছে। এখন প্রয়োজন ভবনের। ভবন হলে নিজস্ব কার্যালয়ে বসে গবাদিপশুর সেবা দিতে পারবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ভবন নির্মাণে এমপি আবু জাহির মহোদয়ের ডিও নিয়ে এ সিদ্ধান্ত দ্রুত মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে বলেন, যোগদান করে ভাড়া ভবন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে পশু হাসপাতালের নিজস্ব জমিতে দ্রুত ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এবার স্থায়ী কমিটির সভার এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভবন নির্মাণের দাবি জোরালো হলো।