স্টাফ রিপোর্টারঃ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর থেকে হবিগঞ্জে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল । এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকেই স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন শনিবারেও (৬ নভেম্বর) শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্টেশনে আসা বেশিরভাগ মানুষ বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, একে তো দূরপাল্লার বাস বন্ধ, আবার স্টেশনে যত যাত্রী, তাতে ট্রেনের টিকিট পাওয়া এবং উঠতে পারা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করা সুমন দেব বলেন, ৩ দিনের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আবার ঢাকা যেতে হচ্ছে। কিন্তু বাস বন্ধ, ট্রেনের টিকিটও নেই। আবার স্টেশনে যত মানুষ, ট্রেনে উঠতে পারব কিনা সেই আশঙ্কাও আছে।
স্টেশনে ভিড় করা আরও অনেক যাত্রী এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ট্রেনে গন্তব্যে যাওয়ার অনিশ্চয়তা তো রয়েছেই। এ ছাড়া স্টেশনে আসতেও তাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে জানান। সেই সঙ্গে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের স্টেশনে আসতে হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুভ্র শংখ রায় বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলমান আছে। রবিবার বিকাল ৩ টায় কেন্দ্রীয় পরিবহন নেতাদের সাথে আলোচনায় বসবে সরকার। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে ভাড়া বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।